পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জুন) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন স্পেশাল পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর জন্ম নেওয়া শিশুটি সাবালক (২১ বছর) না হওয়া পর্যন্ত তার যাবতীয় ভরণ-পোষণ রাষ্ট্রকে বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যয় বহনের খরচ আসামির সম্পদ থেকে বাজেয়াপ্ত করে আদায় করা হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচড়ি গ্রামের শামসুল হক সিদ্দিকের ছেলে আবু বক্কর ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ তার চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকাবাসী সালিশ ডেকে ধর্ষক আবু বক্করকে ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে বলে, কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এই ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১২ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিশির পাল।
১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
এটি একটি যুগান্তকারী রায় উল্লেখ করে পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ বলেন, ঘটনার ১৪ বছর পর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর এ মামলায় সন্তানের বিষয়টি স্বীকার না করলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শিশুটির জন্মদাতা হিসেবে আসামিকে শনাক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএস/জেডএস