বুধবার (০৩ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে ওই সম্পত্তি অবমুক্তের আবেদন করেন তিনি।
আদালত শুনানি শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শেফালী বেগমের বাড়ি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাজীর দর্গা ধলপুরে; তার স্বামীর নাম মো. জুনায়েদ ইসলাম।
শেফালীর দাবি- ঢাকার রমনা থানার কাকরাইল মৌজার সিটি-৫৯৮৮ নং দাগের ১৪৮৫ অযুতাংশ জমির মধ্যে ০০৪০ অযুতাংশ জমি এবং ১১তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার উত্তর দিকের ১৪৭৬ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বেজমেন্টের ৮ নং কারপার্কিং স্পেস তার সম্পত্তি।
ওই নারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএম রাশেদ সারোয়ার পাঠান বলেন, ‘উল্লেখিত সম্পত্তি নির্মাণ বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলোপারস লিমিটেডের কাছ থেকে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি দলিলমূলে জনৈক ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান কেনেন। শেফালী বেগম এটি কেনার জন্য গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে বায়না দলিল করেন এবং এ বছরের ২৫ এপ্রিল রেজিস্ট্রি সাব-কাওলা দলিলমূলে কেনেন। ’
‘আবেদনকারী বর্তমানেও ওই সম্পত্তি শাস্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করছেন। মামলার আসামি ডিআইজি মিজানের সঙ্গে আবেদনকারীর কোনো সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই ক্রোক করা সম্পত্তিটি অবমুক্ত করা জন্য আবেদন করেন। ’
এর আগে গত ২০ জুন ডিআইজি মিজানের নামে-বেনামে থাকা সাত ধরনের সম্পত্তি জব্দ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে সিটি ব্যাংক লিমিটেড ধানমন্ডি শাখায় একটি হিসাবও ফ্রিজ করেছেন আদালত।
জানা যায়, শেফালী বেগম যার থেকে সম্পত্তি কিনেছেন তিনি হলেন ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান। দুদুকের মামলায় তিনি একজন পলাতক আসামি।
এর আগে গত ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন মামলা করে দুদক।
মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এস আই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এমএআর/এমএ