বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার যৌন হয়রানির এ মামলার চাজশিট বুধবার (০৩ জুলাই) আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় বৃহস্পতিবার চাজশিটের ওপর আদালতে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
‘কারণ মামলাটি সোনাগাজী আমলি আদালতে কার্যক্রম চলার এখতিয়ার বহির্ভুত। তাই এটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনীর পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। পরে নুসরাতের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। ৯৬ দিনের মাথায় বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ২৭১ পৃষ্ঠার ডকেটসহ চিকিৎসক ও পুলিশসহ মোট ২৯জন সাক্ষী রয়েছেন।
এর আগে যৌন হয়রানির মামলায় গত ১৯ জুন মামলার একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার দুইদিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানি করার পর তার মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেফতার হন সিরাজ উদ-দৌলা।
পরে এরই জের ধরে ৬ এপ্রিল নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুবৃর্ত্তরা। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাতের মৃত্যু হয়। এই মামলায় সিরাজ বর্তমানে কারাগারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এসএইচডি/এমএ