ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নবীগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৯
নবীগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী ফাতেহা আক্তার হত্যা মামলায় বাদীর স্বামীসহ চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উদ্দিন চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জ জজ আদালতের পরিদর্শক আল-আমিন হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী ফাতেহা আক্তার হত্যা মামলায় উপজেলার বাশডর গ্রামের বাসিন্দা ও মামলার বাদীর স্বামী এবং নিহতের দুলাভাই সাইফুল ইসলাম (৩২), নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুন নূরের ছেলে আব্দুল মন্নাফ (৫২), একই এলাকার বজলা মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫) ও আনমনু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রাজু আহমেদকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আলাল মিয়া ও আবদুল খালেক নামে দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বলেও জানান পরিদর্শক আল-আমিন হোসেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আরব আলীর মেয়ে রৌশন আর সঙ্গে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতে সাইফুল ইসলাম। ২০০২ সালের ২০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রৌশন আরার বোন স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেহা আক্তারকে ফুসলিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান সাইফুল ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী নদীতে একটি নৌকায় নিয়ে গণধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা। পরদিন বিকেলে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ২৬ আগস্ট রৌশন আরা বাদী হয়ে এ ঘটনায় তার স্বামী সাইফুলসহ ৬ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

নবীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন ২০০৩ সালের ১৯ জুন ৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচলনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নূরুল আমীন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট রোকসানা পারভীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।