উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সোমবার (৮ জুলাই) এ আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ছিলেন ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম।
গত বছরের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওইদিন তদন্ত সংস্থার ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ যুদ্ধের আগে মুসলিম লীগ সমর্থক ছিল। যুদ্ধের সময় জামায়াতের সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের লিপ্ত হয়।
প্রতিবেদনে এই আসামির বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮/১০টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ ৫০/৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করার ৫টি অভিযোগ আনা হয়।
২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মুসা ও তার সহযোগীরা পুঠিয়ার ৪ নম্বর ভালুকগাছী ইউনিয়নের পশ্চিমভাগের সাঁওতাল পাড়ায় নিজহাতে তরবারি দিয়ে ও পাকিস্তানি আর্মিরা গুলি করে লাডে হেমরম, কানু হাসদা, টুনু মাড্ডি ও জটু সরেনদেরকে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর শুনানি শেষে ৯ সেপ্টেম্বর মুসার বিরুদ্ধে অভিযাগ গঠনের আদেশ দেওয়া হয়।
***৪ সাঁওতাল হত্যায় পুঠিয়ার মুসার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
ইএস/এএ