বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রনি আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আশুগঞ্জের চর চারতলা গ্রামের রনির সঙ্গে তার চাচাতো বোন কামরুন নাহার তুর্নার বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে কলহ দেখা দেয়। এ কলহের জেরে ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে তুর্নাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রনি। পরে মরদেহটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ এপ্রিল রনিকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তুর্নার বাবা মফিজুল হক।
আশুগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এর মধ্যে রনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইতোপূর্বে রনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তিনি জামিনে কারামুক্ত হয়ে গা ঢাকা দেন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম ইউসুফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এসআরএস