বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকার চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ মাকসুদা পারভিনের আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে না পেরে সময়ের আবেদন করলে, আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ৬ মে আসামিদের ‘এক্সামিন’ শেষে ১৭ জুন যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়। পরে আসামিপক্ষ এ দিন সময়ের আবেদন করলে আদালত ১১ জুলাই যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২১ মার্চ আসামিদের ‘এক্সামিন’ এরও দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন আসামিপক্ষ ড. হুমায়ুন আজাদকে জার্মানির মিউনিখে যে ডাক্তার চিকিৎসা করেছিলেন, তাকে আনার জন্য সমনের আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করে পুনরায় ২৪ এপ্রিল ‘এক্সামিন’ করার দিন ধার্য করেন। পরে সেদিনও এক্সামিন হয়নি। ৬ মে সেটা সম্ভব হয়।
হত্যা মামলাটিতে ৪১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২১ মার্চ আসামিদের ‘এক্সামিন’ এর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে এ ঘটনার বিস্ফোরক মামলায় মাত্র ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
ঘটনাটিতে প্রথমে হত্যাচেষ্টা হিসেবে মামলা করা হলেও পরবর্তীতে তা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলা দু’টি একই আদালতে বিচারাধীন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হত্যা মামলাটির বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি কবে নাগাদ শেষ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে দেশে ও থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেন তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি ওই বছরেরই ৮ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে যান। সেখানে ১১ আগস্ট মারা যান এই ভাষাবিজ্ঞানী।
এদিকে, হামলার পরদিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় ড. হুমায়ুন আজাদের ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। যা পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আজাদের জন্ম বিক্রমপুরের রাঢ়িখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬০ এর বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এমএআর/টিএ