মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসেই আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. শাহজাহান সাজু বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা হলে নতুন সাক্ষী মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, মাদ্রাসাছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী ও বিবি জাহেদা বেগম তামান্নার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন, দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও শিক্ষক আবুল খায়ের, মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন ও সোনাগাজী মাদ্রাসার দপ্তরি মো. ইউসুফ, সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; যা মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন। এরপর টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/ওএইচ/