এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মো. তারিকুল ইসলাম।
তবে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের (বামুস) সনদধারী কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বা এ মন্ত্রণালয় থেকে যাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র/মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদ ইস্যু করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধ সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের নাম চারটি প্রমাণকে বর্ণিত যেকোনো একটিতে অবশ্যই থাকতে হবে।
আইনজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, এ পরিপত্রের কারণে ৪৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুই মুক্তিযোদ্ধা ও একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও আটকে যায়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে তারা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
তিন আবেদনকারী হলেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. ফিরোজ খান ও নাজির হোসেন এবং প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আক্য মং এর স্ত্রী মিশাং।
এ আইনজীবী আরও বলেন, তাদের নাম মুক্তিবার্তায় ছিল। কিন্তু ওয়েবসাইটে সেটা আসেনি। এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষরিত সনদে ২০০০ সাল থেকে ভাতা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ২৪ এপ্রিলের পরিপত্রের কারণে তাদের ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। আদালত ওই পরিপত্রের মাধ্যমে দুই মুক্তিযোদ্ধা এবং এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সম্মানী ভাতা বন্ধ করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ সচিব, সহকারী সচিবসহ ১১জনকে রিটের বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
ইএস/এমএ