বুধবার (২৪ জুলাই) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আয়নাল মিয়া (৩৯) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গীতে স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন আয়নাল। তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রীও আয়নালকে ছেড়ে চলে যান। এরই মধ্যে গত ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে আয়নাল তার বড় মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করেন। এরপর দিনের পর দিন ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পাঁচমাস পর তার শারীরিক গঠন পরিবর্তন হওয়ায় বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে পড়ে। পরে এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসাবাদে আয়নাল স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানান। এর প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী রেখা বেগম বাদী হয়ে আয়নালকে আসামি করে গত ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট টঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় আয়নালকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আয়নালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দেন। সাত জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আয়নাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি শাহজাহান এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জাকির উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
আরএস/আরআইএস/