বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপরের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে লিখিত আকারে বিষয়টি জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে ঢাকা উত্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে আদালতের তলবে হাজির হওয়া ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন এর বক্তব্য শুনেন হাইকোর্ট।
গত ২২ জুলাই তাদের তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৪ জুলাই এক আদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের বাহক এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিতে ডিএসসিসি ও ডিএসসিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।
সে অনুসারে ২২ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদন দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। এরপর ২৫ জুলাই এই দুই কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর ১৪ জুলাই (রোববার) রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন আদালতের।
রুলে এডিস মশা নিমূর্লে এবং ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এ রকম রোগ ছড়ানো বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না এবং এই ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, এলজিআরডি সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
ইএস/এমএ