বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে (অ্যানেক্স-২৫) এ রিট আবেদন করেন। সিসিএসের পক্ষে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।
রোববার (২৮ জুলাই) রিটটির শুনানি হতে পারে। সিসিএসের পক্ষে রিটের শুনানি করবেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মোমিন।
এর আগে ঈদ পর্যন্ত কেন নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণা এবং সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সরকারের তিন মন্ত্রণালয় ও দুই প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল সংস্থাটি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানের কাছে তিনদিনের মধ্যে উত্তর চেয়ে নোটিশটি পাঠিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন।
ওই নোটিশের কোনো উত্তর না পাওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে উল্লিখিত তিন মন্ত্রণালয় এবং দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বিবাদী করা হয়।
রিটে নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে বেআইনি ঘোষণা, সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও প্রচার, সিন্ডিকেট করে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা ও প্রতিবছর রোজা এবং কোরবানির ঈদের একমাস আগে নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণার নির্দেশনার দাবি জানানো হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ঈদকে সামনে রেখে সম্প্রতি অনৈতিক ও অবৈধ সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে ভোক্তা সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষও বিষয়টি স্বীকার করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষকে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। প্রতি বছর রোজা ও ঈদের আগে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এজন্য জনস্বার্থ বিবেচনা করে রিটে দাবি করা নির্দেশনা জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
ইএস/টিএ