সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞা এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত এইচ বি ব্রিকসের মালিক এজেডএম রেজওয়ানুল হক, অর্নব ব্রিকসের মালিক নুর আলম ও ইব্রাহিম আলম মণ্ডল, ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও রহমান ব্রিকসের আতাউর রহমান মিল্টন, জেএস ব্রিকসের শাহরিয়ার ইফতেখারুল আলম চৌধুরী, এআর ব্রিকসের মাহফুজুল হক আনার, নবী ব্রিকসের মাসুদুর রহমান চৌধুরী, এলএইচবি ব্রিকসের লোকমান হাকিম, এসবি ব্রিকসের মঞ্জুরী শাহাদৎ, এমবি ব্রিকসের মাসুদ রানা, এএম ব্রিকসের রবিউল হাসান, এনআইচ ব্রিকসের নাজমুল হুদা, আরএ ব্রিকস-১ এবং আরএ ব্রিকস-২ এর রফিকুল ইসলাম, এএস ব্রিকসের এসএম হায়দার, এসপি ব্রিকসের পলাশ কুমার রায়, শফি ব্রিকসের শফিকুল ইসলাম, আরটি ব্রিকসের তাসরিফুল ইসলাম, আরটি ব্রিকসের তাসরিফুল, এসএ ব্রিকসের আমানুল্লাহ প্রামাণিক, মাইশা ব্রিকসের রেজাউল ইসলাম, কাজী ব্রিকসের কুদরই খোদা ও আসাদুজ্জামান, এআর ব্রিকসের শফিকুর রহমান, পিআর ব্রিকসের পলিন চন্দ্র রায়, বারী ব্রিকসের ফখরুল ইসলাম শাহ সাজু, আরবি ব্রিকসের রবিউল আলম মুন্সি ও হক ট্রেডার্সের জিকরুল হক।
এছাড়াও পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৪ ইটভাটা মালিক। এরা হলেন- যমুনা ব্রিকসের হাসান শাহরিয়ার, এআরবি ব্রিকসের রেজওয়ানুল হক, আজাদ ব্রিকসের আবুল কালাম আজাদ ও হামিদ অ্যান্ড সন্স ব্রিকসের মোকাররম হোসেন।
জেলহাজতে পাঠানো ২৭ জন ও বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ৪ জন দিনাজপুর সদর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরল, কাহারোল, পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ, পীরগাছা উপজেলার ইটভাটার মালিক।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম জুগলু ও আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান জাহানী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তহিদুল হক সরকার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২২ জুন হাইকোর্টের নির্দেশে পার্বতীপুর থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ৩১ জন ইটভাটা মালিককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পার্বতীপুর উপজেলার রেজওয়ানুল হকের বাসায় বসে হাইকোর্টের ‘ভুয়া ও জাল আদেশ’ তৈরি করেছেন আসামিরা। পরে এই আদেশ দেখিয়ে স্থানীয় কৃষি ও আবাদী জমির ফসল বিনষ্ট করে ইটভাটা চালু রেখেছেন তারা।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না থাকার পরও ইটভাটা চালু রাখার দু’টি জাল ও রিটের আদেশ তৈরি করেন। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের ৮(১) ধারায় উৎপাদন, প্রতিপালন না করায় তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশে এ মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
আরএ