ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারের স্বজনদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে নিহত ও আহতদের জীবন রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, পরিবেশ সচিব ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মিজবাহুল আনওয়ার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সোহরাব হোসেন ও মো. জামাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ২৫ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জুন মাসে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন নিহত শ্রমিক রঞ্জিত চন্দ্র রায় ও তরুণ চন্দ্র রায়ের পিতা সুরেশ চন্দ্র রায় ও মো. সেলিম মিয়ার পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোরে চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ওই ইটভাটায় কয়লাবাহী একটি ট্রাক আনলোড করার সময় উল্টে গিয়ে শ্রমিকদের থাকার ঘরের উপর পড়ে। এতে ঘুমে থাকা শ্রমিকদের ১২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতাবস্থায় আরও তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে একজনকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিপ্লব (১৯), মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), শঙ্কর চন্দ্র রায় (২২), দিপু চন্দ্র রায় (১৯), অমৃত চন্দ্র রায় (২০), মৃণাল চন্দ্র রায় (২১), বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮), রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), কনক চন্দ্র রায় (৩৫), তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), মো. সেলিম (২৮), মো. মোরসালিন (১৮), মাসুম (১৮)। তারা সবাই স্থানীয় কাজী অ্যান্ড কোং নামে একটি ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার (বর্তমানে কুমিল্লা দক্ষিণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পরিবহন খরচও জেলা প্রশাসন বহন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
ইএস/জেডএস