ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মশার ওষুধ: সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ হাইকোর্টে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৯
মশার ওষুধ: সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ হাইকোর্টে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ফাইল ফটো

ঢাকা: মশা মারতে বিদেশ থেকে যথাযথ ওষুধ আনার বিষয়ে জানাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) বিদেশ থেকে ওষুধ আনার প্রক্রিয়া নিয়ে দুই সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীদের দুই ধরনের বক্তব্যের পর বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই সচিবকে হাইকোর্টে দুপুর ২টার মধ্যে আসতে বলেছিলেন। সে অনুসারে তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মশা মারার ওষুধ বিদেশ থেকে আনতে কত সময় লাগবে তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

গত ১৪ জুলাই এক আদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের বাহক এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিতে দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী গত ২২ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদন দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। এরপর ২৫ জুলাই দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুসারে তারা হাজিরাও দেন।

তার আগে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর ১৪ জুলাই  রুলসহ আদেশ দেন আদালত।

রুলে এডিস মশা নির্মূলে ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এ রকম রোগ ছড়ানো বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
ইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।