রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, নগরের সোনাডাঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন মামলায় শিঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. তৌহিদুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে শিঞ্জন। ওই ছাত্রীর ভাড়া বাসায়, আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের বাসায় নিয়েও শিঞ্জন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতো। এরপর ওই ছাত্রী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন। শিঞ্জন তাকে বিয়ে করবেন বলে নানাভাবে আশ্বাসও দিয়েছেন। এ অবস্থায় শিঞ্জন গত ১৪ আগস্ট অন্যত্র বিয়ে করেন। ১৬ আগস্ট নগরের হোটেল সিটি ইনে পূর্ব নির্ধারিত বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত ছিল।
বিয়ের খবর ওই ছাত্রীর কাছে পৌঁছালে তিনি শিঞ্জনের খোঁজে গত ১৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে মুজগুন্নী আবাসিকের ১৬ নম্বর রোডে যান। সেখানে গিয়ে শিঞ্জনের দেখা পান। এ সময় তার বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে শিঞ্জন তাকে সেখান থেকে ইজিবাইকে জোর করে তুলে দিতে গেলে স্থানীয়দের নজরে আসে। থানা পুলিশের কাছে খবর গেলে তারা দু’জনকেই সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ১৫ আগস্ট সাড়ে ১২টার ওই ছাত্রীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে ভর্তি করা হয়। ১৬ আগস্ট সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের ছেলে শিঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলামের আদালতে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/