এ বিষয়ে জারি রুল শুনানি শেষে রোববার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করেছেন। ফলে রুশদ ফরিদীকে সিন্ডিকেটের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো অবৈধ। একইসঙ্গে তাকে বিভাগে যোগদানে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন অনুসারে কেবল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্টাফকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তবে যাকে ছুটিতে পাঠানো হবে তিনি চাইলে চ্যান্সেলরের কাছে আপিল করতে পারেন। কিন্তু কাউকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর এখতিয়ার সিন্ডিকেটের নেই।
অথচ ২০১৭ সালের ১২ জুলাই সিন্ডিকেট ড. রুশদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান। পরের দিন একটি চিঠির মাধ্যমে রেজিস্ট্রার এ বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘১২ জুলাই থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপনাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো। বাধ্যতামূলক ছুটিকালীন সময়ে আপনাকে বিভাগীয় সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ’
পরে ১৬ জুলাই ড. ফরিদী কোন কর্তৃত্ব বলে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তা জানতে চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ওই বছরের ২০ জুলাই রিট করেন তিনি। পরে ২৪ জুলাই হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
ইএস/এএ