মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি রফিউল আলমের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের কাজ শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলাটির গ্রেফতার আসামি জেএমবি সদস্য গোলাম রব্বানী ও হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলেছ এবং জামিনপ্রাপ্ত আসামি মাহবুব হাসান ওরফে মিলন ওরফে হাসান ও আবু নাসের ওরফে রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি বিস্ফোরক আইনে এবং অপরটি হত্যা মামলার দু’টি অভিযাগপত্র দাখিল করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার আদালতে হত্যা মামলায় প্রথম সাক্ষী দেন মামলাটির বাদী নিহত হোসেন আলীর ছেলে রাহুল আমিন আজাদ। এছাড়া বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় সাক্ষী দেন নিহত হোসেনের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম ও কন্যা নাসিমা আক্তার।
এসময় সাক্ষীরা জঙ্গি হামলার সেই দিনের ভয়াবহতার চিত্র জবানবন্দিতে তুলে ধরেন।
এ দিন আসামিরা তাদের পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত না করলেও রাষ্ট্রপক্ষ লিগ্যাল এইড থেকে আইনজীবী নিয়োগ করেছিল।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম সদরের গাড়িয়ালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে সকালে বের হলে পাশেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন জেএমবি সদস্যরা। হত্যার পর বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
১৯৯৮ সালে হোসেন আলী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছিলেন তার ছেলে রাহুল আমিন আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এফইএস/টিএ