বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই তালিকা দাখিল করা হয়।
আদালতে তালিকা উপস্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালত আগামী ২৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে দুদক তারা হলেন-সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাহিদ, রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ মেজবাহ উদ্দিন, উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান, বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (সাবেক সহকারী পরিচালক) দেবব্রত মণ্ডল, উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি, ঢাকা-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমিত্রা সেন, সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস, সহকারী পরিচালক মেফতাহুল জান্নাত, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক) রাফী মো. নাজমুস সাদাত।
এদিকে, ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- শ্যামলী শাখার ব্যবস্থাপক সাবিনা শারমীন ও আসাদগেট শাখার ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. ফয়সাল কায়েস।
একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এক প্রতিবেদন দিয়ে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক আজিজুল হক, একই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আখলাফুন নাহার, একই শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার নিজাম উদ্দিন, একই শাখার সাপোর্টিং সাব স্টাফ মো. মাইনুল হক, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাপোর্টিং সাব স্টাফ মো. মিজানুর রহমান, স্থানীয় কার্যালয়ের সাপোর্টিং সাব স্টাফ আজিজুল হক, স্থানীয় কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান এবং স্থানীয় কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহতাব উদ্দিন।
দুদক গত ২১ আগস্ট আদালতকে জানায়, ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এরপর আদালত তাদের তালিকা চান। এ নির্দেশে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তালিকা দাখিল করেন দুদক আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮,২০১৯
ইএস/আরআইএস/