বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক রায়ে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আদালতে আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এএম আমিন উদ্দিন, রবিউল আলম বুদু ও এম সাইফুদ্দিন খোকন (সাইফ মল্লিক)।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন লিপু।
পরে আইনজীবী সাইফুদ্দিন খোকন বলেন, মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের জামিন বহাল রাখলেও আদালত সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করলে জামিন বাতিল করা হবে।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়া থানার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে রাস্তায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এনামুল শেখকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কুপিয়ে জখম করা হয় আরও কয়েকজনকে। এ ঘটনায় পরদিন বাদী হয়ে মল্লিক মাঝহারুলসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মো. নাজমুল হুদা।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি ওই ৬৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে গত বছরের ২৯ নভেম্বর প্রধান আসামিকে জামিন দেন দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ। গত ১০ জুন প্রধান আসামিকে অব্যাহিত দিয়ে বাকি ৬৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন মামলার বাদী। পরে হাইকোর্ট ওই অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করে। পাশাপাশি বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে রুলও জারি করা হয়।
এই আদেশের পর গত ২২ জুলাই আসামি মাঝহারুল ইসলাম নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
রুল শুনানির সময় মাঝহারুলের জামিনের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসলে এই জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি আদালত।
বৃহস্পতিবার আদালত অব্যাহতির আদেশ বাতিলের রুল মঞ্জুর, বিচারকের বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি এবং মাঝারের জামিন বাতিলের রুল খারিজ করে হাইকোর্ট রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
ইএস/এএ