শনিবার (৩১ আগস্ট) বাংলানিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আমরা ইতোমধ্যে তার জামিনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নোট দিয়ে দিয়েছি।
গত ২৮ আগস্ট মিতুর জামিন জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
আদালতে ওইদিন জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
ডা. আকাশ (৩২) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে স্ট্যাটাস, ছবি ও ভিডিও দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির ঘটনাবলি তুলে ধরেন। তার সবশেষ স্ট্যাটাস ছিল ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকাদের নিয়ে’।
৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের (১৩ নম্বর ওয়ার্ড) চিকিৎসক ছিলেন ডা. আকাশ। সকালে তার ভাই নেওয়াজ মোরশেদ চান্দগাঁও আবাসিকের বি-ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসা থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইনজেকশনের সাহায্যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চান্দগাঁও থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের মা জোবেদা খানম।
মামলায় আসামিরা হলেন- তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)। এছাড়া ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
গ্রেপ্তারের পর তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মিতু। আদালত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
মোস্তফা মোরশেদ আকাশ চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি পরিবারসহ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ডা. আকাশের সঙ্গে তানজিলা চৌধুরী মিতুর পরিচয় ২০০৯ সাল থেকে। ২০১৬ সালে বিয়ে হয় তাদের।
তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া বড়ঘোপ এলাকায়। মিতুর পরিবার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের ৪০/এ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। মিতু যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় থাকতেন। ১৩ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসেন।
***স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান, চিকিৎসকের আত্মহত্যা
***চিকিৎসকের স্ত্রী মিতু গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
ইএস/এসএইচ