সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ফয়েজের তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট এই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে আসামিরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে শ্যামলী প্রধান সড়কের ৩৫/১/বি নং বাড়ির ৫ম তলায় ডেকে নিয়ে যায়। তখন ফাহিম আহমেদ তরুণীকে একটি চেয়ারে বসতে দেয় এবং চাকরির বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন ও এক পর্যায়ে তাকে সিগারেট ও ওয়াইন অফার করেন। তরুণী তা না খাওয়ায় আসামি তাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে রেড ওয়াইন মিশিয়ে খাওয়ান। পরে তরুণী শারীরিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। প্রথমে ফাহিম আহমেদ ও পরে নাহিদ পাটোয়ারী তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
পরে তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা তার চোখে, মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। এরপর তরুণী অনেক অনুনয়, বিনয় করে বাসায় ফিরে এসে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার অপর আসামি নাহিদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এমএআর/জেডএস