মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু গুলশান থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন নতুন এ তারিখ ধার্য করেছেন।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদ, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ((বর্তমানে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য) ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। পরে ওইদিনই গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগ বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪২ জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালের কারণে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে।
অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের মধ্যেও পড়ে। এর দায়ভার ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং অপর তিন আসামির ওপর বর্তায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএআর/এমএ