বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ নাজির মো. আলমগীর হোসেন এবং পেশকার নাজমুন্নাহারের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে তারা। এ আবেদনটি আজকেও কার্যতালিকায় ছিলো।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় ৫ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ জেলা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরমধ্যে নাজমুন নাহার তার স্ত্রী এবং আফরোজা আক্তার তার বোন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মোট ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন। তাদের ওই সম্পদ ভোগদখল রেখে প্রতারণামূলকভাবে মানি লন্ডারিং-সম্পৃক্ত অপরাধ, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস গোপনের লক্ষ্যে হেবা দলিল সম্পাদন, দলিলে জাল জালিয়াতি এবং বেনামে সম্পদ অর্জন এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঐশী ট্রেডার্সের ব্যবসার আড়ালে মোট ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
এছাড়া আলমগীর হোসেনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়। দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হয়েও নাজিরের দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে ব্যবসা হিসাব দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা লেনদেন করেছেন।
ওইদিনই দুদকের হাতে গ্রেফতার হন আলমগীর। পরে অবশ্য ওইদিনই নোয়াখালীর আদালত তাকে জামিন দেন।
পরে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আলমগীর হোসেনকে দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
ইএস/এমএ