ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পুরুষাঙ্গ কর্তন: স্ত্রীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
পুরুষাঙ্গ কর্তন: স্ত্রীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ঢাকা: খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিবুর রহিম হাসিবকে অপহরণ ও শরীর থেকে পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তার স্ত্রীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডবিধির ৩২৬ ও ৩৬৪ ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

৩২৬ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৩৬৪ ধারাতেও প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাসিবের স্ত্রী খুলনার খালিশপুর উপজেলার মুজগুন্নি গ্রামের শিউলি বেগম, একই উপজেলার সুরনগর গ্রামের তুষার মোল্লা ওরফে তুষার ও একই জেলার রূপসা থানার মেহেষগুণ গ্রামের মেহেদি হাসান।  

রায় ঘোষণার সময় পলাতক মেহেদি ছাড়া বাকি দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত সাজা পরোয়ানা মূলে উপস্থিত দুই আসামিকে জেলাহাজতে পাঠান ও পলাতক মেহেদির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনাকালে শিউলি বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী হাসিবের। পরবর্তীতে ওই পরিচিয়ের সূত্র ধরে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন হাসিব ও শিউলি।  

বিয়ের পর ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর স্ত্রী শিউলির মাধ্যমে হাসিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কৌশলে অপহরণ করেন তুষার ও মেহেদি। পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় হাসিবকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাটিতে ফেলা হয়। সে সময় স্ত্রী শিউলি হাসিবের পুরুষাঙ্গ কর্তন ও তা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মোটরসইকেল ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান আসামিরা। পরবর্তীতে অজ্ঞাত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের বাবা ফজলুর রহমান ওরফে খোকন প্রফেসর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। চার বছরের বিচারকালে নয় সাক্ষীর মধ্যে সাতজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। অবশেষে আসামিদের দোষ প্রমাণিত হলে বৃহস্পতিবার আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
কেআই/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।