বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন। লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপা এ রিট করেন।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওই বেসরকারি হাসপাতালসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন জানান, রিমা সুলতানা নিপা গত ৮ জুন সন্তান প্রসবজনিত বেদনা নিয়ে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক। ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। যদিও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না। ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান।
‘এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়। ’
তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা সেলাইতে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই, বরং প্রসূতির পিতার অনুরোধে অন্য হাসপাতালের দুজন চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। ওই চিকিৎসকরা প্রসূতিকে অবস্হা খুবই আশঙ্কাজনক বিবেচনায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
জে আর খাঁন রবিন আরও জানান, ২০ জুন ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। পরে রাজধানীর ওই হাসপাতালে সুস্থ হন প্রসূতি। এ হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না। প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে।
আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
ইএস/এমএ