আবদুল খালেকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। ফলে আবদুল খালেকের নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আবদুল খালেকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. মোরশেদ। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক।
পরে আইনজীবী শেখ মো. মোরশেদ বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল খালেককে নির্বাচন থেকে তিন মাস বিরত রাখতে হাইকোর্টের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আবদুল খালেকের নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে ২৭ নভেম্বর খালেকের বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ এনে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ এ আদেশ দেন।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে আবদুল খালেক।
২৭ নভেম্বর রিট আবেদনকারী জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেছিলেন, নদী দখলের কারণে নদী কমিশনসহ তিনটি তালিকায় অ্যাডভোকেট আবদুল খালেকের নাম রয়েছে। স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও নির্বাচনে তার প্রার্থিতা বৈধ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হলেও নির্বাচন কমিশন আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তা হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থি। পরবর্তীতে এ ইস্যুতে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী নুরুল হক হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে আবদুল খালেককে নির্বাচন থেকে তিন মাসের জন্য বিরত রাখতে নির্দেশ দেন।
আগামী ১২ ডিসেম্বর শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির এক রায় অনুসারে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ থাকলে জাতীয় বা স্থানীয় সব ধরনের নির্বাচনের জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
ইএস/এইচএ/