রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সকালে সৈকতকে গ্রেফতার দেখায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সেসময় ডিবি দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ বাংলানিউজকে জানান, সন্দেভাজন হিসেবে সৈকতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রুম্পা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র।
গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের দুই ভবনের মধ্য থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ দেখে আশপাশের লোকজন চিনতে না পারায় মৃতের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংগ্রহ করা হয়।
রুম্পার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা দু’টি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে যান তিনি।
কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
কেআই/একে