ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরের প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরের প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

ঢাকা: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার দুই তীরে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠান একমাসের মধ্যে বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (০৮ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।  

এছাড়া ঢাকা ওয়াসার সুয়ারেজ লাইন নিয়ে তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আগামী একমাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত আগামী ৮ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এদিকে বুড়িগঙ্গায় ঢাকা ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ পতিত হয়নি বলে গত ১৮ জুন ওয়াসার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দেওয়া অসত্য তথ্যের জন্য হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

আদালতে ওয়াসার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকটে উম্মে সালমা। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।  

গত ১৮ জুন ওয়াসার দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ লাইন নেই। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ৬৭টি স্থান দিয়ে বর্জ্য পড়ছে। তার মধ্যে ওয়াসার লাইন ১৬টি। ওয়াসার এই দুই ধরনের প্রতিবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এ অবস্থায় ওয়াসা ওইদিন তাদের ২ ডিসেম্বর দেওয়া প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এবং রোববার নতুন করে জবাব দাখিল করে। এই জবাবে ১৮ জুনের প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সুয়ারেজ লাইন সরাতে ছয় মাস সময় চাওয়া হয়।  

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই রিট করা হয়েছিলো। সে রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের শুরুতে এ রায় নিয়ে এইচআরপিবি একটি সম্পূরক আবেদন করেন।

ওই আবেদনের পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনস্বার্থে করা এক রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে ২০১১ সালে আদালত অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বুড়িগঙ্গার ভেতরে যেসব সুয়ারেজ লাইন আছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন আছে সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীরে যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সেজন্যে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।  

তিনি আরও জানান, কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এই নির্দেশনাগুলো পুরোপুরি পালন না করায় এ সম্পূরক আবেদন করা হয়েছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।