১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) তাদেরকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
টাঙ্গাইলের সখিপুরের একটি সরকারি পুকুর ইজারা নিয়ে করা রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন তপু গোপাল ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রহলাদ দেবনাথ ও মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
পরে তপু গোপাল ঘোষ জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুরের গজারিয়ার একটি সরকারি পুকুর ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতা অপু আহমেদকে না দিয়ে তার চেয়ে কম দরদাতাকে দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপু আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে খোঁজ খবর নিতে বলেন।
মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ইউএনও এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। উনি ওসি সাহেবকে বলেন আইন কর্মকর্তার আইডেন্টিটি ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য। আজকে মামলার যে বাদী অপু আহমেদ তাকে ফোন করে তারা ধমক দিচ্ছেন, সে কেনো ঢাকায় অবস্থান করছেন। ব্যাপারটা হাইকোর্টের নজরে আনার পর আদালত আদেশ দেন। আদেশে ইউএনও-ওসিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরের নির্দেশ দেন। কেন তারা আবেদনকারীকে ধমক দিয়েছেন এবং আইন কর্মকর্তাকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। একইসঙ্গে ওই ইজারা কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়েছেন।
সাইফুল আলম আরও বলেন, আদালত বলেছেন-ওসিরা নিজেদেরকে জমিদার মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ইএস/জেডএস