মামলাটি আমলে নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান তদন্ত করে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ‘এ বি সিদ্দিকী গত ৬ ডিসেম্বর শাহ আলী মাজারের কাছে যান। সেখানে বিএনপি নেতা রবিউল আউয়াল সোহেলের হুকুমে বিএনপির চার/পাঁচজন কর্মী নিজেদের আওয়ামী ওলামা লীগের লোক বলে পরিচয় দেন। তারা বলেন, ‘আপনিতো (এ বি সিদ্দিকী) খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছেন। আমরা মিরপুরের বিএনপি নেতা রবিউল আউয়াল সোহেল ও জামায়াতের নেতাদের সরকারবিরোধী কার্যকলাপের গোপন বৈঠকের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ ব্যাপারে মামলা করার জন্য আপনার সঙ্গে পরামর্শ করতে চাই। ’
‘তারা এ বি সিদ্দিকীকে রাস্তার অপরপাশে তাদের অফিসে নিয়ে যেতে চান। এ বি সিদ্দিকী সময় চান। পরে তিনি বুঝতে পারেন, ভবনটি বিএনপি নেতা রবিউল আউয়ালের। সেখানে রবিউল আউয়াল জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের নিয়ে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক করেন। ওই ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের অফিস হয় কীভাবে? ফলে তার সন্দেহ হয়, এরা রবিউল আউয়ালের ক্যাডার’।
‘ওই ব্যক্তিরা এ বি সিদ্দিকীকে ওই ভবনে নিয়ে যেতে জোর করেন। নিরাপত্তার কারণে সেখানে যাননি এ বি সিদ্দিকী। পরে তারা স্বীকার করেন তারা বিএনপি, জামায়াতের লোক। তাদের রবিউল আউয়াল পাঠিয়েছেন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ‘আপনি যেতে রাজি হচ্ছেন না, আপনাকেতো জোর করে নিয়ে যাওয়া যাবে না। আপনাকে ছেড়ে দিচ্ছি। তবে একটা শর্ত- বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের নেতা (তারেক রহমান) নির্দেশ দিয়েছেন, খালেদা জিয়া এবং সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ২১ আগস্টের মতো শেখ হাসিনার পরিবার এবং তার পরিবারের সদস্যদের আইএস দিয়ে খুন করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
কেআই/জেডএস