একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরুল আলম।
মামলার আর্জিতে তিনি বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন ‘এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বিদায় নিয়েছে, শেখ হাসিনাকেও সেভাবে বিদায় নিতে হবে। ’
বাদী উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পূর্বেও এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দুদু ও একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা এখন শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। এর আগেও তাকে ১৯ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।
ওইদিন অতিরিক্ত মহানগর সরকারি কৌঁশলি (পিপি) নিখিল কুমার নাথ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্র। শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যের মাধ্যমে সেই ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ পেয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন জানিয়েছিলাম আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
ইএস/এমএ