ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: জামিন পাননি আমিনুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ঢাকা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: জামিন পাননি আমিনুল

ঢাকা: ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখার ভিপি ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলামের জামিনে জারি করা রুল ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন করলেন হাইকোর্ট। 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

 

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। আর  আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম।
 
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, গত ১৬ জুলাই তাকে কেন জামিন প্রদান করা হবে না, সেই মর্মে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে রুল ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন মর্মে এই রায় দেন। ফলে তার জামিন হয়নি।
 
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, চেয়ারম্যান তালহা ও তার স্ত্রী তানিয়া রহমান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। তাদের জামিনের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে দুদক সেশন জজ কোর্টে বিষয়টা রিভিশন করে। এবং সেখান থেকে বিশেষ আদালত জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এটা কোর্টের নজরে এনেছি। এটা জানার পর কোর্ট বললেন ওখানে জামিন দেওয়াটা ঠিক হয়নি। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার থাকলেও, এত গুরতর অপরাধে জামিন দেওয়া ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে কোর্ট বলেছেন, ওদেরকে যেকোনো পর্যায়ে থাকুক, যেখানে থাকুক, মাটির তলে লুকিয়ে থাকলেও তাদেরকে ধরে এনে টাকা উদ্ধার করতে হবে। কোনোপ্রকার ক্ষমা নেই। আদালত এ বিষয়ে আরও বলেন, এ ধরনের টাকা আত্মসাতকারীরা খুনের চেয়ে বড় অপরাধ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত বিচার হতে হবে।

মামলার বিবরণী উল্লেখ করে তিনি জানান, আসামিরা একে অন্যের যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে, ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৩টি বিলের মূল্যসহ ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
 
এই ঘটনায় ২০১৮ সালের  ২৩ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসন সাতজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
 
আমিনুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব টি এস আইয়ুব, তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের এভিপি ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।