ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ধর্ষণ প্রতিরোধ: কমিশন গঠনে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ধর্ষণ প্রতিরোধ: কমিশন গঠনে হাইকোর্টের নির্দেশ

ঢাকা: ধর্ষণের মূল কারণ নিরুপণ এবং এ রোমহর্ষক ঘটনা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, প্রতিরোধ করা যায়, সেজন্য এক মাসের মধ্যে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ছয় মাসের মধ্যে এ কমিশনকে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটিতে আইনজীবী, বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, চিকিৎসক এবং ভিকটিম (যদি কোনো ভিকটিম রাজি থাকেন) থাকবেন।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার এম এস কাউসার।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ বছরের নিচে কেউ ভিকটিম হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রণয়ন করার সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, ধর্ষণের ঘটনায় যদি কারো মৃত্যু ঘটে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবনের সাজার যে বিধান রয়েছে সে যাবজ্জীবন সাজার বিধান উঠিয়ে দিতে আইন সংশোধনে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, ধর্ষণের ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন কেন প্রনয়ণ করা হবে না, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য কেন ডিএনএ ডাটাবেজ হবে না, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমদের সুরক্ষায় কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, ভিকটিমদের ছবি কোনো গণমাধ্যমে প্রচার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সব ধরনের ধর্ষণের অপরাধের জন্য কেন একটি আলাদা আদালত গঠন করার নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং সে আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তিনি আরও বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হবে। এখ‍ানে যারা বিবাদী আছেন, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী যারা আছেন তাদের পক্ষ থেকে, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট আইনজীবী, বিচারক, সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক এবং চিকিৎসক (যারা ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন)। যদি কোনো ভিকটিমের সম্মতি থাকে তখন তাকেও রাখা যাবে। এ রকম ব্যক্তিদের নিয়ে এ কমিশন গঠন হবে। এক মাসের মধ্যে কমিশন গঠনের অগ্রগতি জানতে হবে।  আগামী ছয় মাসে ধর্ষণের মূল কারণ নিরুপণ করে, এ রোমহর্ষক ঘটনা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, প্রতিরোধ করা যায় সেটির একটি রিপোর্ট দাখিল করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।