ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘সিলেটের সেইসব বনভূমি বন বিভাগের’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
‘সিলেটের সেইসব বনভূমি বন বিভাগের’ ...

ঢাকা: সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইন ঘাট এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ১৯৮৫ সালের গেজেটের বৈধতা নিয়ে দুটি রিটে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এই রায়ের ফলে ওই বনভূমি বন বিভাগের অধীনে থাকছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল ও রোকেয়া আক্তার।

রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী চৌধুরী সানওয়ার আলী।

অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনকারীরা নিজেদের মহাজির দাবি করে হাইকোর্টে গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু মামলার শুনানিকালে আবেদনকারীরা মহাজির প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
 
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দেশ ভাগের পরে (১৯৪৮-৬৫) আসাম ও ত্রিপুরা থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিবাসী হিসেবে সিলেট অঞ্চলে তারা অবস্থান নেন। তখন তাদের পরিচিতির জন্য মহাজির কার্ড দেওয়া হয়। ১৯৫১ সালে তৎকালীন সরকার সিলেট অঞ্চলে তাদের জীবিকা নির্বাহ ও বসবাসের জন্য কিছু ভূমি বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু ১৯৮৫ সালের ২০ আগস্ট সরকার বনায়নের লক্ষ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার ওই ভূমি বন বিভাগের অধীনে ন্যাস্ত করে। সরকারের জারিকৃত এই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে আব্দুল মোতালেব ওসমান আলী এবং এবং ২০১৪ সালে রফিকুল ইসলাম ও ফরমান আলীসহ অন্যরা দুটি রিট দায়ের করেন।
 
পরে ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। সোমবার যে রুল খারিজ করে দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
ইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।