ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা মুহা. আবদুল হাননান খানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তদন্ত সংস্থা জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়ার পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর এম সানাউল হকের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর, পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর, নেত্রকোনা সমিতিসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
আবদুল হাননান খানের দ্বিতীয় জানাজা বিকেল সাড়ে ৩টায় নেত্রকানার পূর্বধলায় ও বিকেল সাড়ে ৪টায় খলিশাউর খান পাড়ায় শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মুহা. আবদুল হাননান খান (৭৮) রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আইজিপি পদ মর্যাদায় থাকা তদন্ত সংস্থার প্রধান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
নেত্রকোনার পূর্বধলা খলিশাউর খান পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবদুল হাননান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭১ সালে ১১ নম্বর সেক্টরের ঢালু সাব সেক্টরে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বিসিএস প্রথম ব্যাচে পুলিশ বিভাগে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন আবদুল হাননান খান।
এরপর ১৯৯৬ সালে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা’র প্রধান তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তখন পলাতক আসামি মেজর হুদাকে ব্যাংকক থেকে আনতেও সরকারিভাবে তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এছাড়া জেল হত্যা মামলা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলারও তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
২০০০ সালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হিসেবে ২০১১ সালে নিয়োগ পেয়ে আইজিপি পদ মর্যাদায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
ইএস/আরবি