ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলে সৎ মা সীমা বেগমকে (৩১) কুপিয়ে হত্যার পর আগুন দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ছেলে এসএম আশিকুর রহমান নাহিদ (২৭)।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এছাড়া মামলার অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হলেন- জাকিয়া সুলতানা আইরিন (২২), আসেক উল্লা (৫০), রোকেয়া বেগম (৪০), শাহজাহান শিকদার (৫০) ও সাকিব (২০)।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারিফুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করেন। নাহিদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
সোমবার উত্তরখান থানা এলাকা থেকে নাহিদকে এবং কাফরুলের ইমান নগর ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে রোববার (২৯ নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১টায় কাফরুল থানার পূর্ব বাইশটেক এলাকার একটি বাসা থেকে সীমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে প্রথমে উপর্যুপরি ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে তার শরীলে আগুনে দিয়ে পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় সীমার বড় ভাই শরীফ মোহাম্মদ বাদী হয়ে কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, নিহত সীমার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। শাহজাহান সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সে। ৩ থেকে ৪ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। আসামি নাহিদের সৎ মা তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
কেআই/ওএইচ/