ঢাকা: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ৮৫ বছর বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া সেই মেয়ের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। আর উভয়পক্ষের সম্মতিতে সামাজিকভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
উচ্চ আদালতে জামালপুর পুলিশ সুপারের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া বৃদ্ধের নাতির সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল এমন কোনো সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
জামালপুরের পুলিশ সুপারের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশের পর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই মেয়ের জন্ম ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে। জন্ম সনদ অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মো. মহির উদ্দিন এবং মেয়েটি সম্পর্কে দাদা নাতিন। তাদের দুজনের ঘর পাশাপাশি। তাদের মধ্যে সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এ সুবাধে মেয়েটি গর্ভবতী হয় এবং সামাজিকভাবে উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মহির উদ্দিনের নাতী শাহিনের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্কে বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এসময় আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। মেয়েও অ্যাডাল্ট (প্রাপ্তবয়স্ক)। এখন প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে ছাপানোর ব্যবস্থা নেন।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নাতির ধর্ষণের দায়ে ৮৫ বছর বৃদ্ধ দাদার সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে আনার পর ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
ইএস/এইচএডি