ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আইনানুযায়ী মজুতদারদের শাস্তি: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
আইনানুযায়ী মজুতদারদের শাস্তি: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: স্টোরেজ এবং মজুতদারি দু'টি এক বিষয় নয় জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মজুতদারির ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।

তিনি বলেন, সরকার জনগণের কষ্ট লাঘব করার জন্য মার্কেটে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন হলে সেটা করবে।

কারণ, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে এরকম একটি সঙ্কট তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেজন্যই মূলত বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং এ আইনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি হলো মজুতদারি এবং চোরাকারবারী।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং এক্সপেরিয়েন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মজুতদারির ব্যাপারে সরকার শুধু মার্কেটে হস্তক্ষেপ করবে না, আইন অনুযায়ী মজুতদারদের শাস্তি দেওয়া হবে। সরকার লাভ করার জন্য ব্যবসা করে না। যেখানে বেসরকারি খাতের কোনো অবদান নেই, সেখানে সরকার ব্যবসা করে।

বর্তমান সরকারই মামলাজট নিরসনে প্রথম সচেষ্ট হয়
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশের মামলাজট সমস্যা একদিনে তৈরি হয়নি, এটি দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই দেশের মামলাজট সমস্যা সমাধানে প্রথম সচেষ্ট হয়েছেন। এ জট নিরসনে সময় লাগবে। কারণ রাতারাতি একজন বিচারক বানানো যায় না। একটি সিস্টেম রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের সময় বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছিল না। শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অবকাঠামো নির্মাণসহ নতুন নতুন বিচারক নিয়োগ দিচ্ছে, বিচারকদের প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সুবিধা দিচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের বাইরে বিকল্প উপায়ে অর্থাৎ এডিআরের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করে মামলাজট কমানোর চেষ্টা করছে। এর সুফল আমরা অবশ্যই পাবো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বিচারকদের স্বাধীনতা, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সবক্ষেত্রে তাদের প্রতি অন্যান্য সরকারের সবচেয়ে বেশি অনীহা ছিল। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৩-৯৪ সাল পর্যন্ত এমন পর্যায় হয়েছিল যে, আসামির সাজা খাটা হয়েছিল অথচ কোর্টে মামলা করতে পারা যায়নি এবং সে কারণেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাজা কমিয়ে অনেককে জেল খানা থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। এছাড়া বক্তব্য দেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।