ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এক মানিকের জায়গায় অন্য মানিক জেলে, বিচারিক তদন্তের নির্দেশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
এক মানিকের জায়গায় অন্য মানিক জেলে, বিচারিক তদন্তের নির্দেশ 

ঢাকা: মাদক মামলায় এক মানিকের বদলে অন্য মানিক জেল খাটছেন-এমন অভিযোগের ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ মার্চ) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

শরীয়তপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও জেল সুপারকে সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা হয়। পরে ওই মামলার আসামি মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেফতার করেন পুলিশ। কিছুদিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক।

মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ আদালতে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন।

আসামিরা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মানিক মিয়া।

মানিক হাওলাদারের ছোট ভাই রতন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি হচ্ছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম চাঁন ব্যাপারী কান্দী গ্রামে। আমার বাবার নাম নজরুল ইসলাম আর মায়ের নাম রেজিয়া বেগম।

অন্যদিকে, মামলার যে প্রকৃত আসামি মানিক মিয়া। তার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা, মায়ের নাম লুতফা বেগম। গ্রাম হচ্ছে মালতকান্দি। সখিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড। গত বছরের ২৮ নভেম্বর সাজাপ্রাপ্ত মানিক মিয়ার জায়গায় শুধু নামের মিল থাকায় মানিক হাওলাদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরপর মানিক হাওলাদারের স্ত্রী স্বামীর মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
ইএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।