ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে পাঁচ মাসে কতজনকে অব্যাহতি: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
দুর্নীতির অভিযোগ থেকে পাঁচ মাসে কতজনকে অব্যাহতি: হাইকোর্ট

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দিয়েছেন তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তাদের নাম, ঠিকানাসহ তালিকা আগামী ১১ এপ্রিলের হাইকোর্টে দাখিল করতে দুদককে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ ৫ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের। ’

২০১৬ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। চলতি বছরের ১০ মার্চ তিনি অবসর নেন।

এ দিকে ১৬ মার্চ মঙ্গলবার দৈনিক প্রথম আলোতে ‘১০ বছর ধরে জালিয়াতি, ২৬ কোটি টাকা আত্মসাত’ শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে এ বিষয়ে সাধারণ বিমার অবস্থান কি, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ প্রতিবেদনের প্রতিবেদককেও ১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব খুলে রাষ্ট্রীয় সংস্থা সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) আয় থেকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। চক্রটির নেতৃত্ব দিয়েছেন এ সংস্থারই প্রধান কার্যালয়ে অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের ব্যবস্থাপক আবুল কাশেম। ১০ বছর ৬ মাস ধরে এ কাণ্ড ঘটে চললেও এসবিসি ছিল পুরোপুরি অন্ধকারে।

এসবিসির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খসরু দস্তগীর আলমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।