ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পিকে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
পিকে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

ঢাকা: দশটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অবৈধভাবে ৪৩৪ কো‌টি ৬০ লাখ টাকা আত্মসা‌তের অ‌ভি‌যো‌গেবিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে) ৩৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬ মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যাল‌য় ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করেন সংস্থাটির  উপপ‌রিচালক গুলশান আ‌নোয়ার প্রধান।

মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন এ উপপরিচালক।

গুলশান আ‌নোয়ার প্রধান বলেন, দশটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬ মামলা (রোববার) মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি ৪টি মামলা সোমবার দায়ের করা হবে।

জানা যায়, পিকে হালদারের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. রাশেদুল, ভারপ্রাপ্ত এমডি মো. আবেদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এম. এ. হাশেম এবং বোর্ড সদস্যরা যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণের বিপরীতে কোনো মর্টগেজ গ্রহণ ছাড়া ১০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন।

এর আগে, ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদার ও তার ৩৭ সহযোগির বিরুদ্ধে দশটি মামলার অনুমোদন করে দুদক। একইসঙ্গে পিকে হালদারের সহযোগি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেমসহ ৪৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় পি কে হালদারের তদন্তের অংশ হিসেবে তার ৭ হাজার ৮০ শতাংশ জমিসহ একটি ১০তলা ভবন জব্দে আদালত থেকে আদেশ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের এক আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।

এ চার কোম্পানি হলো, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।

এর মধ্যে আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে।

এ মামলায় এরমধ্যে পি কে হালদারের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২১
এসএমএকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।