ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে বোমা: রায় দুপুরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে বোমা: রায় দুপুরে

ঢাকা: প্রায় ২১ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা রাখার ঘটনায় হওয়া ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার রায় ঘোষণা হবে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ)। এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান অরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া। এর মধ্যে মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে। ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলায় এরই মধ্যে হাইকোর্টেও ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ মামলায়ও সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে ঘটনা প্রমাণের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই হবে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১১ মার্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এ ঘটনায় হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালের ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।