ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন ১১ এপ্রিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন ১১ এপ্রিল

ঢাকা: রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের এই দিন ধার্য করেন।

মঙ্গলবার এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল হক এদিন প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তাই বিচারক আগামী ১১ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো একজনকে আসামি করা হয়। এরপর আদালত এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছিলেন। এরপর প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ তিন দফা পেছাল।  

এই মামলায় নিহতের বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, নুহাত আলম তাফসীর, সাফায়েত জামিল ও বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আসামিদের মধ্যে মর্তুজা রায়হান চৌধুরী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে অধিক মাত্রায় মদপান করান।

এজহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।