ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সুনামগঞ্জে জোড়া খুনের রায়: ২ জনের ফাঁসি, ১৩ জনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
সুনামগঞ্জে জোড়া খুনের রায়: ২ জনের ফাঁসি, ১৩ জনের যাবজ্জীবন  জোড়া খুনের রায়: ২ জনের ফাঁসি, ১৩ জনের যাবজ্জীবন 

সুনামগঞ্জ: পূর্ব শত্রুতার জেরে সুনামগঞ্জে গুলি করে দুই ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- আবদুল হান্নান ওরফে যাত্রা মিয়া ও শাসছুদ্দিন ওরফে শামছু মিয়া।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুল মান্নান, ইনু মিয়া, রেনু মিয়া, হামদু মিয়া, আফজল মিয়া, জালাল উদ্দিন, আবদুল নূর, সবুজ মিয়া, বাবুল মিয়া, আলকাছ মিয়া, বাদল মিয়া, রহমত আলী ও মনু মিয়া।

সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়দা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শামনুর নাহার বেগম শাহানা রব্বানী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২০০০ সালে ১৮ মার্চ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গুলি করে আরপান আলী ও মতিউর রহমান হত্যার দায়ে আদালত হান্নান ও শাসছুদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।  

মামলার বিবরণে বলা হয়, তাহিরপুর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে ২০০০ সালে ১৮ মার্চ একপক্ষের লোকজনের হাতে অন্যপক্ষের একজন মারধরের শিকার হন। পরদিন সকালে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। ওই সালিশে যাওয়ার সময় পথে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিতে আরপান ও মতিউর গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের আত্মীয় আতাউর তাহিরপুর থানায় ২৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩১ মার্চ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।