ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছয় টুকরো খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার: স্ত্রীর দোষ স্বীকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২১
ছয় টুকরো খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার: স্ত্রীর দোষ স্বীকার

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে স্বামী ময়না মিয়াকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করার পর ছয় টুকরো মরদেহ উদ্ধারের মামলায় প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।  

রোববার (৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত ১ জুন ফাতেমা খাতুনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে ফাতেমা খাতুনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম। এসময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৩০ মে দিনগত রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মহাখালী আমতলী সড়কের পাশে একটি নীল রঙের ড্রামের ভেতরে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মরদেহের সঙ্গে মাথা ছিল। এছাড়া দুই হাত ও দুই পাও কাটা ছিল, সেগুলোও সেখানে ছিল না।

এরপর খণ্ডিত মরদেহের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে রহস্য উদঘাটন করে ডিবি পুলিশ। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ময়না। দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামী ময়না মিয়াকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। পরে মরদেহ ছয় টুকরো করে বস্তায় ভরে মহাখালী এলাকার সড়কে ফেলে দেন। আর খণ্ডিত মাথা ফেলেন বনানীর লেকে। এ ঘটনায় ফাতেমাকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বামী হত্যার নির্মম বর্ণনা দেন।

ময়না মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইাসরিন বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।