ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফোন নম্বর স্পুফ করে টাকা আদায় ঘটনায় দুজন কারাগারে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
ফোন নম্বর স্পুফ করে টাকা আদায় ঘটনায় দুজন কারাগারে 

ঢাকা: ব্যক্তিগত ফোন নম্বর স্পুফ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নামে সংগঠনটির তৃণমূল থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার দুইজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া দুই আসামি হলেন- ফিরোজ খন্দকার ও তার সহযোগী রাকিবুল ইসলাম।

গত ১৯ অক্টোবর এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শনিবার তাদের বনানী থানায় করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৮ অক্টোবর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর থেকে তাদের গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামি ফিরোজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের ফোন নম্বর স্পুফ করে সংগঠনের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এ কাজে ফিরোজ খন্দকার প্রথমে ইন্টারনেট থেকে যুবলীগের বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। তিনি সেসব ফোন নম্বরে ডায়ালার অ্যাপের মাধ্যমে নম্বর স্পুফ করে ফোন করতেন। প্রতারক ফিরোজ খন্দকার এসব ফোন কলে সরাসরি টাকা চাইতেন না। বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলে তিনি পরশ পরিচয়ে টাকা দাবি করে বিকাশ-রকেট নম্বর দিয়ে টাকা চাইতেন।

সংগঠনের ‘চেয়ারম্যানের নম্বর থেকে ফোন’ পেয়ে নেতারা উৎফুল্ল মনে টাকা পাঠাতেন। আর তিনি সেই টাকা বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে তুলতেন।
এভাবে আসামি ফিরোজ খন্দকার গ্রেফতারের আগে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েছেন। তিনি ঢাকার খিলখাঁও থেকে কেরানীগঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে প্রতারণার টাকা তোলেন। সন্দেহ এড়াতে টাকা উত্তোলনের সময় মোটরসাইকেলে চড়ে বিভিন্ন বুথ থেকে অল্প অল্প করে টাকা তুলতেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে খিলখাঁও ও কেরানীগঞ্জের যেসব বুথ থেকে ফিরোজ খন্দকার টাকা তোলেন তার সবগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
এসব ঘটনায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস তার ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। তিনি বুঝতে পারেন তার নম্বরটি ক্লোন করে অর্থ আত্মসাৎ করছে একটি চক্র। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা পোস্ট করেন শেখ পরশ।

পরে ১৫ অক্টোবর যুবলীগ চেয়ারম্যানের পক্ষে রাজধানীর বনানী থানায় ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
কেআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।