ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্বীকারোক্তি দিয়েও যে কারণে খালাস পেলেন সাফাতরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
স্বীকারোক্তি দিয়েও যে কারণে খালাস পেলেন সাফাতরা

ঢাকা: রাজধানীর বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারপরও সব আসামিই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই রায় দেন।

ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনায় না নেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারক বলেন, আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, রিমান্ডে নিয়ে পুরুষাঙ্গে ইলেক্ট্রিক শকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। তাদের ওই ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহারেরও আবেদন করা হয়েছে। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় আমার কাছেও তাই মনে হচ্ছে। তাই ওই ১৬৪ ধারার জবানবন্দিকে এই রায়ে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারছি না।

রায়ের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিকে ধরেন, এরপর বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে একটা স্বীকারোক্তি করান। সেই স্বীকারোক্তিটাই যদি মনে করেন মামলা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট, এটা না। সারা পৃথিবীতেই ১৬৪ করার আগে তারা এভিডেন্স কালেক্ট করে তারপরে আসামিকে বাধ্য করে জবানবন্দি দিতে। একমাত্র আমাদের দেশেই ধরার সঙ্গে সঙ্গেই ১৬৪ হয়ে গেলেই মামলা প্রমাণিত হয়ে গেছে বলে মনে করার চেষ্টা করে, সেই চেষ্টা আজকে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এই ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ফৌজদারি মামলা করি, খুব জোরালোভাবেই বলছি—এই ব্যর্থতাটা তাদের থাকা উচিত না।

আরও পড়ুন:
রেইনট্রিতে ধর্ষণ: সব আসামি খালাস
‘দুই তরুণী সেক্সুয়াল পারফরমেন্সে অভ্যস্ত ছিল’


বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।