ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশুর মৃত্যু: হাসপাতাল মালিক কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
শিশুর মৃত্যু: হাসপাতাল মালিক কারাগারে

ঢাকা: টাকা দিতে না পারায় জমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় ‌‘আমার বাংলাদেশ হসপিটাল’র মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


 
দুই দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার গোলাম সারোয়ারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।  

আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলেও তা শুনানির জন্য রাখার আর্জি জানান।

আদালত নিবেদন মতে জামিন শুনানির জন্য বুধবার রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম আদালতে মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

গত ৮ জানুয়ারি গোলাম সারোয়ারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

হাসপাতালের আইসিও থেকে বের করে দেওয়ার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি শিশু দুটির মা আয়শা আক্তার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।  

মামলায় বলা হয়, ঠাণ্ডাজনিত কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুই জমজ সন্তান আব্দুল্লাহ ও আহম্মেদকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের আইসিইউতে নিতে বলা হয়। ওই হাসপাতালে সিট না থাকায় সাভারে কোনো একটি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ সময় এক দালাল শিশু দুটিকে পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সেখানেও সরকারি হাসপাতালের মতো খরচ কম।  

ওই দালালের কথামতো শিশু দুটিকে আমার বাংলাদেশ হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ দিনে দুই শিশুর চিকিৎসার বিল দেখায় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫শ টাকা দেন শিশুদের মা।  

ওই নারী বলেন, বাকি টাকা না দিতে পেরে তাদের হাতে-পায়ে ধরেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৬ জানুয়ারি বিকেল তিনটার দিকে সন্তানসহ হাসপাতালের মালিক আমাকে জোর করে বের করে দেয়।  

এরপর শাহিন নামে এক যুবককে নিয়ে দুই শিশুসহ ঢামেক হাসপাতালে যাই। সেখানে পৌঁছানোর আগেই আমার এক ছেলে মারা যায়। আরেক ছেলের অবস্থাও ভালো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।