ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিথ্যা মামলা

পীরকে বাদ দিয়ে ভক্তের বিরুদ্ধে এজাহার নিতে নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
পীরকে বাদ দিয়ে ভক্তের বিরুদ্ধে এজাহার নিতে নির্দেশ

ঢাকা: মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এসিড দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়। তবে ঢাকার এসিড দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত পীরকে বাদ দিয়ে শুধু ভক্ত আবুল বাসারের নামে মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে আগামী ১২ মের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়।

গত ৭ মার্চ একরামুল আহসান (কাঞ্চন) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একই আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আবুল বাসার ও দিল্লুর ছাড়াও মফিজুর রহমান, মেসবাহ উদ্দিন সুমন, নাহিদা আক্তার রত্মা, শাখেরুল কবির ওরফে ইকবাল, ফারুকুর রহমান এবং মফিজুল ইসলাম ওরফে জামাই মফিজকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমানের নির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় আবুল বাসার এই মামলার বাদী একরামুল আহসানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৪ জুন পল্লবী থানায় এসিড অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারে আসামিরা নির্দোষ মর্মে খালাস পান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা একরামুল আহসানের পৈত্রিক ভিটা/বাড়ি, ফ্যাক্টরি গ্রাস করতে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করেন। তেমনি আপন ভাইদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করাসহ পীরত্বে আনুগত্য স্বীকার না করায় দিল্লুর রহমান ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ মামলাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য। এই আদালতের পর্যবেক্ষণেও তা উঠে এসেছে।

একরামুল আহসান ৪৯টি মামলার মধ্যে ৩৭টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এরপর তিনি গত বছর ৭ জুন উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। উচ্চ আদালত রিটের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সিআইডির তদন্তে আসামিরাসহ সিন্ডিকেটের বহু উল্লেখযোগ্য নাম এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত জেলা জজ সমপর্যায়ের একজনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটি কর্তৃক দাখিল করা মিথ্যা মামলাবাজ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যদের মামলাবাজি, অপকর্ম ও অপরাধের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়।

উচ্চ আদালত গত বছর ৫ ডিসেম্বর একরামুল আহসানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে তাকে খালাসসহ মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকটসহ আদালতে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।